স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ২ নং হবিবপুর ইউনিয়ন এর সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল (৬৭) পরলোক গমন করেছেন। তিনি মৃত্যূকালে স্ত্রী, দুই ছেলে এক মেয়ে আত্মীয় স্বজন,রাজনৈতিক সহযোদ্ধাসহ গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় ৬ দিন আইসিইউ তে থাকা অবস্থায় এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
এর আগে আরো ৬ দিন মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ছিলেন। সেখানে উনার চিকিৎসার উন্নতি না হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে তাঁকে ওসমানীতে ভর্তি করা হয়েছিল বলে তার ছোট ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা বিপ্রেশ মজুমদার জানান।
উনার মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় জানাজানি হলে
বকুল বাবুর মৃতদেহকে শেষ বারের মতো এক নজর দেখার জন্য তার নিজ বাড়িতে মানুষের ঢল নামে ।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও কৃষকলীগ যুগ্ম আহবায়ক পীযুষ শেখর দাস বলেন,
বকুল বাবু সত্যিকারের একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। তিনি সবার সঙ্গে হাঁসি মুখে কথা বলতেন। এমন একজন মহৎ ব্যক্তির মৃত্যু সত্যিই কষ্টদাক। উনার আত্মার শান্তি কামনায় তিনি সবার কাছে দোয়া আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন ।
তাঁর মৃত্যুতে উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সাত্তার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বকুল বাবু একজন ভাল চেয়ারম্যানই ছিলেন না তিনি একজন ভাল মানুষ ও ছিলেন। তার মৃত্যুতে দল একজন দক্ষকর্মী হারালো। তিনি উনার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বকুল বাবু মৃত্যুতে দিরাই শাল্লা বর্তমান সংসদ সদস্য ডক্টর জয়া সেন গুপ্ত মোবাইলে জানান বকুল বাবু খুব ভালো মানুষ ছিলেন সেই আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত আমার স্বামী প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের খুবই স্নেহভাজন লোক তাঁর মৃত্যূতে দলের অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেলো। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
সোমবার সন্ধ্যা তার নিজ বাড়ি নোয়াগাঁও গ্রামের মহাশশানে সৎকার হবে বলে জানান।