সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার উত্তর পাশে ঈদগাহ মাঠে বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেবের নিজ হাতে রোপনকৃত সূর্যমুখী ফুলের বাগানে এলাকার পর্যটকদের ভীড় চোখে পড়ারার মতো।
আদর্শমানের ভোজ্যতেল হিসেবে সূর্যমুখী বাগানের পরিধি যেমন বাড়ছে, তেমনি এটিকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব বয়সের দর্শনার্থীরা এখানে ঘুরতে আসেন। বাগান ঘুরে ছবিও তোলেন তাঁরা।
সূর্যমূখী বাগানে ঘুরতে আশা কয়েকজন কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায় আসলে কলেজে তো লেখা পড়া চাপ থাকে তাই বাগানে ঘুরতে এসে মনটাকে একটু হালকা করি তাছাড়া অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগে।
শাল্লা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আবদুল্লাহ আল মাসুদ তু্ষার জানান, সূর্যমুখী বীজের মাধ্যমে যে পরিশোধিত তৈল পাওয়া যায় তা স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর। বাজারে এর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। সূর্যমূখীর বীজ থেকে যে তৈল পাওয়া যায় তাতে মানবদেহের ক্ষতিকর কোনো কিছু থাকে না।
কিন্তু বিদেশ থেকে আমদানি করা তৈল যে শতভাগ বিশুদ্ধ তাও কিন্তু বলা যাচ্ছে না। তাই শরীরের জন্য উপকারী হিসেবে সূর্যমুখীর বীজ থেকে পাওয়া তৈল মানবদেহের জন্য স্বাস্থ্যকর। এবং এই বছর ৯ হেক্টর পতিত জমিতে সূর্যমূখী ফুলের চাষ হয়েছে আগামীতে আরো বাড়ানো হবে।
এই সূর্যমূখী ফুলের বাগান এলাকার যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে তেমনি এলাকার অন্যান কৃষকভাইয়েরা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হবে।
উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও কৃষকলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক পি সি দাশ বলেন, বিগত দিনের তুলনায় এবছর এলাকায় সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সারা ফেলেছে। এটি খুব ভাল দিক বলে জানান তিনি
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুর আহসান সাথে কথা বলে জানা যায় বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব আমার খুবই ভালো বন্ধু তাঁর এই কাজ টা করার মূল লক্ষ্য হলো এলাকার কৃষক কে আকৃষ্ট করা সূর্যমুখী ফুলের বাগান করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। এবার হয়তো ৯ হেক্টর পতিত জমিতে চাষবাদ হয়েছে আগামীতে আরো বাড়ানো হবে ইনশাআল্লাহ