Sunday, November 24, 2024
Homeসিলেট বিভাগসিলেটছাতকে পিআইও'র বিরোদ্ধে দূর্ণীতির তদন্তে ৪মাসেও নেই অগ্রগতি

ছাতকে পিআইও’র বিরোদ্ধে দূর্ণীতির তদন্তে ৪মাসেও নেই অগ্রগতি

 

সাজ্জাদ মাহমুদ মনির, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার টি আর, কাবিখা, কাবিটা ১৬টি প্রকল্পে দূর্ণীতি। ২৫% ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয়না পিআইও অফিসে। সংবাদ প্রকাশের পর ৩সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন। প্রায় ৪মাস অতিবাহিত! নেই তদন্তে অগ্রগতি। কোন সাংবাদিক কিছুই করতে পারবে না এমনই পিআইও কর্মকর্তার মন্তব্য।

ছাতক উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২০২১ -২২ অর্থবছরে কাবিখা প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৯৭ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। ৩২ হাজার মে. টন চাল হলে প্রায় তিন কোটি ১০ লাখ চার হাজার টাকার ১৬টি প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কে এম মাহবুব রহমানের উপড়ে।

এদিকে, নিউজ প্রকাশের পর জেলা উপজেলাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তারই প্রেক্ষিতে ২৩সালের সেপ্টেম্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরের জামান চৌধুরী ৩সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে ২সপ্তাহের ভিতরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কথা থাকলে ৪মাসেও কোন অগ্রগতি হয়নি এই দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তার বিরোদ্ধে। এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন দূর্ণীতিবাজ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কে এম মাহবুব রহমান। তাঁর খুঁটির জোর খোঁজতেই মাঠে নেমেছেন এই প্রতিবেদক।

জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আফছর আহমদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও উপজেলা প্রকৌশলী আফছর আহমদ হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৩সালের (৯নভেম্বর) মৃত্যু বরন করেন। তার কিছুদিন পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরের জামান চৌধুরী বদলী হয়ে ঢাকা চলে যান। এরপর আর তদন্তের কোন অগ্রগতি হয়নি। নিউজ করে তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না এমনই মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কে এম মাহবুব রহমান ছাতকে যোগদানের পর থেকেই সব ধরনের দূর্ণীতিতে জড়িয়ে পড়েন সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প সহ সকল প্রকল্পে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেছেন কন্টেক্টর, ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানরা। টাকা ছাড়াই কোন ফাইল নড়ে না এখনও।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কে এম মাহবুব রহমান জানান, দূর্ণীতির বিষয়ে যারা অভিযোগ করেছিল তারা উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের সাথে আপোষ করেছে। তবে তদন্তে অগ্রগতির বিষয়ে তিনি কোন কথা বলেন নি।

ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্না জানিয়েছেন আমি যোগদানের পর এই বিষয়টা আজই জানলাম। এ বিষয়ে তিনি পদক্ষেপ নিয়ে পরে জানাবেন বলে আশ্বস্থ করেছেন।

 

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments