নিজস্ব প্রতিবেদক:
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়নে ব্যয় হবে ৬৬৮ কোটি ৩৮লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৮ টাকা। সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ-০৬ এর লট-১২বি এর কাজ যৌথভাবে জিনজাল সিটি হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এবং ম্যাক্স ইনফ্রাস্টাকচার লিমিটেডকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আজকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার ৮ প্রস্তাব ছিল। এরমধ্যে ক্রয়ের ছিল ৭টি। যার মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল, সেটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, জিওবি ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ-০৬ এর লট -১২বি এর ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। যৌথভাবে কাজটি পেয়েছে জিনজাল সিটি হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এবং ম্যাক্স ইনফ্রাস্টাকচার লিমিটেড। এতে মোট খরচ হবে ৬৬৮ কোটি ৩৮ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৮ টাকা।
এছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দুইটি প্রস্তাব থাকার কথা উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, সেগুলো বহ্মপুত্র নদের ড্রেজিং এর কাজ বিষয়ক প্রকল্প। এটি রুটিন কাজ। প্রস্তাবে সব কিছু ঠিক ছিল বলে আমরা অনুমোদন দিয়েছি। তাছাড়া গ্যাস কেনা নিয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রস্তাব ছিল। সেগুলো আমরা অনুমোদন দিয়েছি। জ্বালানির আর একটি ছিল, সেটি হচ্ছে শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের জন্য ওয়েলহেড কম্প্রেসর সংগ্রহ ও স্থাপন (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপনের ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব।
জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে স্পট মার্কেট বেছে নেয়ার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা যেখানে দাম কম পাবো সেখান থেকেই নেবো।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ খান সাংবাদিকদের জানান, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩য় বৈঠক আজকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে মোট ৭টি প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়। এরমধ্যে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের একটি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দুইটি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ৪টি প্রস্তাব ছিল। সব কয়টি প্রস্তাবেরই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।