বিশেষ প্রতিনিধি:
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীঠ মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন তিন দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ফলে প্রায় ৫ ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো. রিয়াজসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে প্রায় ৫ ঘণ্টা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন অধ্যক্ষসহ আরও কয়েকজন শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুহেল আহমদ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দিলোয়ার হোসেন রাহীসহ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। পরে তাদের মধ্যস্ততায় আন্দোলন রোববার পর্যন্ত স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ইতিহাস বিভাগে শিক্ষক সংকট, হলের পানি সমস্যা নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। খবর পেয়ে আমরা ক্যাম্পাসে যাই। পরে কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি। দ্রুত এ সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিতে প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। রোববার মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র সঙ্গে আলাপ করে পানির সমস্যা সমাধান করা হবে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম মো. রিয়াজ। তিনি বলেন, তোমাদের (আন্দোলনরত শিক্ষার্থী) সমস্যা মানে আমাদের সমস্যা। শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আগামী এক সপ্তাহের ভেতরে সমাধান করা হবে। এছাড়া ছাত্রী নিবাসের নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামকরণের বিষয়টি লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। এসময় বঙ্গবন্ধু হলের পানি বিষয়টি আগামী রোববারের ভেতর সমাধান হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টা থেকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।